Information

মধু ব্যবহারের নিয়ম

Rate this post

মধু ব্যবহারের নিয়ম: আপনি কি মধু ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটেই এসেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা মধু ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সেইসব তথ্য দিয়ে থাকি, যা দৈনন্দিন জীবনে মানুষের উপকারে আসে। আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, প্রতিটি বিষয় ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার, তো চলুন শুরু করা যাক।

মধু ব্যবহারের নিয়ম

আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলো: মধু ব্যবহার করার নিয়ম ।  আপনারা এই পোস্টে বিস্তারিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন

খাবারের পাশাপাশি রূপচর্চায় বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু। তবে অনেকেরই জানা নেই মধু ব্যবহারের সঠিক নিয়ম। ত্বক ও চুলের যত্নে মধু অতুলনীয়।  প্রাচীনকাল থেকেই মধু বেশ জনপ্রিয়। পৃথিবীজুড়েই মধুর ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে আয়ুর্বেদমতে, যেকোনো একটি ফুলের মধুর চেয়ে বিভিন্ন ফুলের মধুর সমন্বয় বেশি কার্যকর। কারণ, তাতে উপকার পাওয়া যায় নানা ফুলের নানা উপকরণ থেকে।

মধুঃ

মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ৷ মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ এনার্জি যোগায় ৷ এছাড়া মধুতে রেয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি ৷

মধুতে বিদ্যমান উপাদানসমূহঃ

খাঁটি মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান বিদ্যমান । প্রকৃতিতে বিদ্যমান বিভিন্ন ফুল থেকে মৌমাছিরা যে মধু সংগ্রহ করে এতে থাকে প্রায় ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মল্টোজ ৷ এছাড়াও প্রায় ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, প্রায় ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং প্রায় ১১ শতাংশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক এনজাইম৷ খাঁটি মধু চর্বি ও প্রোটিনমুক্ত । ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি ।

মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতাঃ

আসুন প্রথমে আমরা জেনে নিই, নিয়মিত মধু পান করলে আমরা কি কি উপকার পাব। এরপর কিভাবে মধু খেলে আমাদের জন্য সবচেয়ে ভাল হবে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

মধুর উপকারিতাঃ

সুস্থ থাকতে নিয়মিত খাঁটি মধু খাওয়ার কোন বিকল্প নেই ৷ ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি মধুতে কি কি খাদ্য উপাদানসমুহ বিদ্যমান রয়েছে। তবে আমাদেরকে নিয়মিত মধু খাওার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই, মধুতে বিদ্যমান এই বিশেষ খাদ্য উপাদানগুলি আমাদের শরীরে বিশেষ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে । আমরা সবসময় মধু নিয়মিত খাওয়ার কথা বলে থাকি কারণ, অনিয়মিত মধু পানে যে উপকার আপনি পাবেন তা তেমনভাবে পরিলক্ষিত হবেনা । এ পর্যায়ে খাঁটি মধুর উল্লেখযোগ্য উপকারিতাসমূহ নিম্নে সংক্ষেপে তুলে ধরছিঃ

  • মধুতে বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর ফলে নিয়মিত খাঁটি মধু পানে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
  • মধু আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ শক্তি যোগায়, শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন করে ।
  • মধু আমাদের শরীরে খাবারের হজমশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে ৷
  • যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, মধু তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারি। রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তার মাধ্যমে মধু শরীরের রক্তশূণ্যতা দূর করে। 
  • মধু আমাদের শরীরে রক্তনালী প্রসারণের মাধ্যমে হৃদপেশির কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।
  • মধুতে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদানসমূহ। নিয়মিত মধু পানে আমাদের শরীরে এসব খজিনের (কপার, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি) অভাব পূরণ হয়৷
  • মুখের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ঘায়ের চিকিৎসায় মধু খুবই কার্যকরী এবং মধু আমাদের দাঁতকে মজবুত করে।
  • মৌসুমি সর্দি, জ্বর উপশমে তুলসি পাতার রসের সঙ্গে খাঁটি মধু মিশিয়ে কয়েকদিন নিয়মিত পান করলে এটা দারুণভাবে কাজ করে।
  • যারা ফুসফুসের বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন এমনকি যাদের ফুসফুস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তাদের জন্যও মধু খুবই কার্যকরী৷
  • মধু শিশুদের হাড়ের গঠন মজবুত করে, দৃষ্টিশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • রাতের বেলা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে আপনার অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • শারীরিক এবং যৌন দূর্বলতা দূরীকরণে মধুর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা ৷
  • মধু পানে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয় ৷
  • নিয়মিত মধু পান বাতের ব্যথা উপশম করে।
  • মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকের রং সুন্দর করে এবং তারুণ্যতা বজায়ে রাখতে সহায়তা করে ৷ 
  • মুখের ব্রণ এর চিকিৎসায়, ত্বক এবং চুলের রূপচর্চায় মধু ব্যবহারে বিশেষ সুফল পাওয়া যায় ৷

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে

ত্বক তৈলাক্ত হলেই যে তা আর্দ্র হবে, এমনটা কিন্তু নয়। তৈলাক্ত ত্বকও আর্দ্রতার অভাবে নিষ্প্রাণ হয়ে পড়তে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে তুলসী পাতা আর মধু প্রয়োগ করতে পারেন। ১ কাপ তুলসী পাতা নিন। তা থেকে রস বের করুন। মোটামুটি ১ টেবিল চামচ পরিমাণ রস হবে। রস ছেঁকে নিন। রস ছেঁকে নিয়ে পাতার বাকি অংশটুকু ফেলে দেবেন না। তুলার সাহায্যে রসটুকু মুখে লাগিয়ে নিন টোনারের মতো। ৫-৭ মিনিট পর রস শুকিয়ে এলে এবার পাতার সেই বাকি অংশের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন ১ চা-চামচ পরিমাণ। এই মিশ্রণই হয়ে গেল একটি ফেসপ্যাক। ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন এভাবে মধু দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। তবে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি হলে সপ্তাহে ২-৩ দিনও ব্যবহার করতে পারেন।

মিশ্র ত্বকের জন্য

ত্বক মিশ্র প্রকৃতির হলে একেক মৌসুমে একেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তবে সঠিক নিয়মে ভালো মানের মধু ত্বকে প্রয়োগ করলে তা স্বাভাবিক ত্বকের মতোই স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠতে পারে। মিশ্র ত্বকের জন্য দুইভাবে কাজে লাগাতে পারেন মধু। সপ্তাহে ১ দিন করে ব্যবহার করতে পারেন নিচের যেকোনো একটি উপায়ে। ১ কাপ পুদিনা পাতা (ডাল নয়) ধুয়ে চটকে নিন। এই রস তুলার সাহায্যে মুখের ত্বকে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার ১ চা-চামচ মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলার সাহায্যে একইভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা পাতা নিন ১ টেবিল চামচ। পাতা পিষে নিয়ে এর সঙ্গে মেশান ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি এবং ১ চা-চামচ মধু। কোনো পানি মেশাবেন না। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক ত্বকেও চাই

শুষ্ক ত্বকেও ২টি আলাদা পদ্ধতিতে মধু প্রয়োগ করতে পারেন। চন্দনগুঁড়া নিন ১ চা-চামচ। গরুর দুধ গরম করে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। চন্দন ভালোভাবে মিশে যেতে যে পরিমাণ দুধের প্রয়োজন হবে, ততটাই নিন। চন্দন ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর এই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে ২ দিন এভাবে ব্যবহার করতে পারেন মধুর প্যাক। চাইলে চন্দনগুঁড়ার পরিবর্তে সামান্য একটু চন্দন কাঠ দিয়েও একই নিয়মে প্যাকটি তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দুধে চন্দন ভিজিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর শিল–পাটায় ঘষে নিতে হবে। এই প্যাক ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে, কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। কাঁচা হলুদের রস ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। রস ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার ১ চা-চামচ রস নিয়ে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১টি ডিমের কুসুম ও আধা চা-চামচ মধু। মিশ্রণটি সপ্তাহে ১ বার মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে, ঠোঁটের আশপাশের বা নাকের চামড়া শুষ্ক হলে সপ্তাহে ২-৩ দিন প্রয়োগ করতে পারেন। ভালোভাবে জ্বাল দেওয়া হলুদের রস ঠান্ডা করে কাচের মুখবন্ধ বয়ামে পুরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন দিন পনেরোর জন্য। ত্বককে আর্দ্র রাখতে এই প্যাক দারুণ কার্যকর।

ত্বকের নমনীয়তায়

মধু একধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয়কণা ত্বকের ভিতরে টেনে নেয় যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তাধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তাধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী।

নিয়মিত১ টেবিল-চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কারও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুমগরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবেকোমল ও মসৃণ।

লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে

মধুতে আছেএনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারকরে। এছাড়াও মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, জজবা বানারকেল তেল ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষাকরে।

২ টেবিল-চামচ জজবা তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধু ভালোভাবেমিশিয়ে চোখের চারপাশের ত্বক বাদ দিয়ে মিশ্রণটি পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে হালকাভাবে হাতঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে।  তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

কোমলভাবে ত্বক পরিষ্কার  

মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টিউপাদানে পরিপূর্ণ। যা ত্বক করে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। অন্যদিকে, বেকিং সোডাও ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্যকরে। এটি ত্বকের মৃতকোষ তুলেনতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।

১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে২ টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে পানিতে মুখ ধুয়ে মিশ্রণটি মুখে বা শরীরে বৃত্তাকারেহালকাভাবে মালিশ করে কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হবে।

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে

বিভিন্নকারণে ত্বকে দাগ হতে পারে যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্টকরে। মধু দাগ উঠিয়ে ত্বক করে উজ্জ্বল। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালউপাদান ত্বকের কালো দাগ কমাতে এবং টিস্যু পুনর্গঠনেসাহায্যকরে।

এছাড়াওনারকেল বা জলপাইয়ের তেল ত্বকের মরাকোষ সতেজ দূরকরতে সাহায্যকরে। প্রতিদিনের হালকা মালিশ রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বক সুস্থ রাখতে ও কোষ গঠনে সাহায্য করে।

১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল-চামচনারকেল বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বকের যেখানে দাগ বাক্ষত চিহ্ন আছে সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১-২ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশকরতে হবে। তারপর ত্বকে গরম তোয়ালে চেপে ধরে রাখতে হবে ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত।দৈনিক ব্যবহারেভালো ফল পাওয়া যাবে।

ব্রণ দূর করতে

কিশোরীথেকে শুরু করে মোটামুটি সব বয়সের মানুষের জন্যব্রণ একটি চিন্তার কারণ। মধুর অ্যান্টিফাঙ্গালএবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বক ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করবে।

আক্রান্তস্থানে মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

গোসলে মধু

দিন দিনদূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। আর এই দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ত্বক। মধুরজলীয়ভাব এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাবে।

২ টেবিল-চামচ মধু ১ কাপ গরম পানিতে ভালোভাবে মেশান। তারপর বালতিতে পানিতে ঢেলে গোসল করুন। এত ত্বক পরিষ্কার থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণথেকেও ত্বক রক্ষা পাবে।

চুলের কন্ডিশনার

মধুতে থাকাএনজাইম অনুজ্জ্বল চুলকে উজ্জ্বল করে। পাশাপাশি নারকেল তেল চামড়ারবাহিরের স্তরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল-চামচনারকেল তেল মিশিয়ে রূক্ষ্ম চুলে ভালোমতো মালিশকরতে হবে। ২০ মিনিট রেখে তারপর ভালোভাবে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন।

শ্যাম্পু

চুল পরিষ্কারকরতে অপরিহার্য হলো শ্যাম্পু। মধু চুলের নমনীয়তা বজায়রেখে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে। পছন্দেরশ্যাম্পুর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে সাধারণভাবে মাথা ও চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতেহবে।

চুল রং করতে মধু

চুল হাইলাইটবর্তমান ফ্যাশনে দারুণ জনপ্রিয়। তবে রাসায়নিক রং চুলেরক্ষতি করতে পারে এই ভয়ে অনেকেই চুলে রং এড়িয়ে চলেন।তবে মধুরবিশেষ কিছু উপাদান আছে যা ধীরে ধীরে চুলের রং হালকা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে চুল হাইলাইটস করার জন্য দারুণকার্যকর মধু।

৩ টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল-চামচপানি মিশিয়ে তা পরিষ্কার চুলে ১ ঘণ্টার জন্য লাগিয়েরাখুন। পরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহেএকবার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

রোদে পোড়া ভাব কমাতে

মধু ত্বকেরগভীরে আদ্রতা ধরে রাখে। মধু এবং অ্যালোভেরা দুটোতেই আছে শক্তিশালি অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি যা ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়।

মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পোড়াভাব কমে আসবে।

পুরুষাঙ্গে মধু ব্যবহারের উপকারিতা

তেল বা মধু এদের কোনটার উপরই কোন প্রভাব রাখে না। লিংগের গোড়ায় এবং শরিরে নানা গ্রন্থি থাকে যারা নিয়মিত বিভিন্ন বস্তু নিঃসরন করে ,যেমন ঘাম, সিবাসিয়াস ইত্যাদি।

তেল বা মধু মাখলে এগুলোর নিঃসরন বাধাগ্রস্থ হয় ফলে সিস্ট গজায় যা যৌন মিলনে ব্যাপক সমস্যা করে।

পুরুষাঙ্গে মধু মাখলে কি উপকার পাওয়া যায়?

আপনারা জানেন যে ডায়াবেটিস হলে মুত্রনালীতে সুগার চলে আসে যা সাধারনত ওখানে থাকেনা ফলে জীবানু জন্মায় আর প্রস্রাবে ইনফেকশন করে যা থেকে পরে মুত্রনালি সরু হয়ে যাওয়া, এমনকি বাচ্চা ধারন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।

মুত্রনালীর সারফেস এপিথেলিয়াম সুগার শুষে নিতে পারে তাই ক্রমাগত লিংগে মধু মাখলে মুত্রনালি তে সুগার যাবে এবং ইনফেকশন হবে।

তাই লিংগে তেল বা মধু কিছুই মাখা যুক্তি সংগত নয়।

আপনি যদি এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার একটি মন্তব্য আমাদের অনেক উৎসাহ দেয়। আশা করি আপনারা আজকের পোস্ট: মধু ব্যবহারের নিয়ম পড়ে পুরো বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করার জন্য!

Back to top button