জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন অনলাইনে: আপনি কি জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটেই এসেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন অনলাইনে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সেইসব তথ্য দিয়ে থাকি, যা দৈনন্দিন জীবনে মানুষের উপকারে আসে। আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, প্রতিটি বিষয় ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার, তো চলুন শুরু করা যাক।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন অনলাইনে
আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলো: জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন অনলাইনে । আপনারা এই পোস্টে বিস্তারিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন
অনলাইন থেকে নিজেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। শুধু আপনার ভোটার স্লিপ নম্বর/এনআইডি নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। চলুন জেনে নিই, অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম-
মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড
প্রথমে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপ NID Wallet অপর মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে। ইন্সটল করার জন্য গুগল অ্যাপসে যান। সার্চ করুন NID Wallet লিখে। তারপর অ্যাপটি ইন্সটল করুন।
রেজিস্ট্রেশন ও লগ ইন
স্লিপ নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে এনআইডি সেবার ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যদি ২০১৯ এর পর ভোটার হয়ে থাকেন হয়তো আপনার ভোটার আইডি স্লিপ আছে। আপনি স্লিপ নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে পারবেন।
ধাপ ১– প্রথমে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এখান থেকে।
এখানে রেজিস্টার করুন লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রার করুন।
ধাপ ২- জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ড / স্মার্ট কার্ড নম্বর বা স্লিপ নম্বর লিখুন। আপনার জন্মতারিখ ও ছবিতে দেখানো কোডটি টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩- এবার আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) বাছাই করুন। নিচের ছবির মত।
ধাপ ৪– উপরের সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখানো হবে। অথবা আপনি নতুন একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি সচল এবং আপনার হাতে থাকতে হবে। কারণ এই নম্বরের একটি ভেরিফিকেশন ওটিপি পাঠানো হবে।
এখানে আপনার মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে লিখুন এবং বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫– আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো ঘরে লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য একটি কিউআর কোড দেখানো হবে। NID Wallet অ্যাপ দিয়ে কোড টি স্ক্যান করে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
ধাপ ৬- আপনার ফেইস ভেরিফিকেশনের এর জন্য একটি কিউআর কোড দেখানো হবে। যে মোবাইলে আপনি NID Wallet ইন্সটল করেছেন। সেই মোবাইলটি হাতে নিন। অ্যাপটি ওপেন করুন এবং কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।
ধাপ ৭- অ্যাপে দেখানো ভিডিওর মত, আপনার মুখ বরাবর সেলফি ক্যামেরা ধরুন ও বরাবর তাকান। ঠিক থাকলে ছবিতে OK বা টিক মার্ক নোটিফিকেশন দেখাবে।
তারপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানে একবার ও বামে একবার ঘোরাবেন। OK না দেখালে, আবার চেষ্টা করুন। ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
ধাপ ৮- পাসওয়ার্ড সেট করুন। ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশনের ঝামেলা ছাড়া একাউন্টে লগ ইন করতে হলে, আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে। ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা পুনরায় ডাউনলোড করার জন্য আপনার অনেক সুবিধা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
পাসওয়ার্ড সেট করার সাথে সাথে আপনার এনআইডি ওয়েব সাইট লগ ইন হয়ে যাবে। আপনি আপনার ছবি ও প্রোফাইল দেখতে পাবেন। ছবির ডান পাশে দেখানো অপশন থেকে সবার নিচে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিন।
আপনি যদি এ ধরনের তথ্যমূলক পোস্ট জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার একটি মন্তব্য আমাদের অনেক উৎসাহ দেয়। আশা করি আপনারা আজকের পোস্ট: জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম ২০২২ পড়ে পুরো বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করার জন্য!
NID কার্ড সংশোধন করুন নতুন নিয়মে ২০২২
NID কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২২
এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২২: একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার পরিচয় বহন করে জাতীয় পরিচয়পত্র। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে আপনার সকল তথ্য সরকারি নথিতে সংরক্ষিত থাকে আপনি যে ভোটার এলাকার আওতাভুক্ত এলাকা থেকে আপনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করা হয়।
NID কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
তবে কোনো কারণবশত যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা ভুল করে থাকে। এ অবস্থায় সে তার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবে। তবে মনে রাখবেন অনলাইনে আপনি শুধুমাত্র আপনার হাউজ নং এবং পোস্ট অফিস পরিবর্তন করতে পারবেন অন্য কোনো ঠিকানা যেমন জেলা-উপজেলা ইত্যাদি কোন ভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
তবে সম্পূর্ণ ঠিকানা যেমন স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রর ঠিকানা পরিবর্তন ফরম মাইগ্রেশন ফর্ম জমা দিতে হবে। অন্যদিকে অনেকেই রয়েছেন যারা জরুরি কারণ বাড়ির বাইরে অবস্থানরত অবস্থায় বাড়ির বাইরে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেছেন, এছাড়া বদলির কারণে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে হয়েছে।
সুতরাং আপনারা বর্তমান অবস্থা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আজকে আর্টিকেলে আমরা আপনাদের দেখাবো কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসে থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন কর আবেদন করা যায়।
অনলাইনে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের নিয়ম
আমরা আগেই বলেছি যে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন বলতে শুধুমাত্র আপনার বাড়ির নাম্বার ডাকঘর এবং পোস্ট কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়াও ভোটার এলাকা উপজেলা জেলা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের সম্পূর্ণ ঠিকানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। আলোচনার আপনাদের দেখাবো কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয় ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে চলতে হবে নির্দেশনা অনুযায়ী।
- ঠিকানা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- আপনার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন বা ইউটিলিটি বিল এর কপিটা জাতীয়তার সার্টিফিকেট হিসেবে আপনার ঠিকানা পরিবর্তন করুন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তা জমা দেন।
- সকল তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করুন এবং তা নির্ধারিত স্থানে আপলোড করুন
অনলাইনে এনআইডি আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
প্রথমে আপনাকে বলে রাখি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড পরিবর্তন সম্পূর্ণ অনলাইনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা সম্ভব। তাই আপনি একটি কম্পিউটার অথবা মোবাইল থেকে আবেদন করতে পারবেন অবশ্যই ইন্টারনেট কানেক্টেড হতে হবে।
- ঠিকানা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র অফিশিয়াল services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট রয়েছে সাইটে প্রবেশ করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও পাসওয়ার্ড প্রদান করে আপনার একাউন্টে লগইন করতে হবে।
- আপনার প্রোফাইলে আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে যেখানে আপনার নাম জন্মতারিখ বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।
- আপনাকে সেলফি তুলে নিজের মুখ যাচাই করতে হবে।
- ঠিকানা অপশনে ক্লিক করুন।
- এডিট করার লক্ষ্যে বাটনে ক্লিক করুন আপনাকে ইডিট করার অপশন দেয়া হবে অর্থাৎ তথ্য পরিবর্তন করার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে।
- আপনি যদি বর্তমান ঠিকানা ঠিক রাখতে চান তাহলে তা টিক দিন আর যদি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান তাহলে তার পাশে মার্ক করুন।
- পরবর্তীতে আপনার বাসা হোল্ডিং নাম্বার পোস্ট অফিস এবং পোস্ট কোড সঠিকভাবে লিখুন।
- এরপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনার পরিবর্তন করার ঠিকানা সমূহ আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে পরবর্তী পেজে প্রবেশ করুন।
- এই ওয়েব পেজে আপনাকে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য যে নির্ধারিত ফি করা হয় ধার্য করা হয়েছে তা প্রদান করতে হবে আপনি বিকাশ রকেট মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পরিবর্তনের 230 টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
- অবশেষে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো পরিবর্তন হয়েছে।
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা চাকরি গত কারণে বা অন্য কোনো কারণে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান এ অবস্থায় আপনাকে অনলাইন থেকে একটি সব পূরণ করতে হবে এবং উক্ত যথাযথ তথ্য দিয়ে সংযুক্ত করতে হয় একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনি অবশ্যই চাইবেন স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার টিপস পেতে।
তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার ফরম সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করেছে আমরা আশা করবো আপনি তা এখান থেকে সংগ্রহ করবেন এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করবেন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩
আপনার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে যদি ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান আপনাকে নিচের দেখানো ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন ফরম মাইগ্রেশন ফর্ম 13 পূরণ করে আপনার বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন অফিসে জমা দান করতে হবে। এটি পেতে হলে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
অতঃপর ফর্ম এই অপশনে ক্লিক করুন আপনার সন্তান উপস্থিত হবে যেখানে আপনার উপজেলা থানা নির্বাচন কমিশনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ফর্ম দেওয়া হবে। আপনি যেহেতু তথ্য পূরণ করবেন তাই প্রতিটি স্থানে যথাযথ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেমন আপনার নাম জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর জন্ম তারিখ বর্তমান ঠিকানা এবং ঠিকানায় আপনি স্থানান্তর হচ্ছেন সেই ঠিকানা ইত্যাদি সকল তথ্য।
যেসব কারণে আপনার ভোটার এলাকা বা পাওয়ার তোমার ঠিকানা পরিবর্তন করতে হতে পারে
- বাসা পরিবর্তন
- বিয়ের কারণে ঠিকানা পরিবর্তন
- চাকরির স্বার্থে অন্য কোথাও বদলি হওয়া
উপরে দেওয়া তথ্যগুলো ভিত্তিতে আপনি সহজে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন বলে আশা করছি। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমরা যেকোন সমস্যার সমাধান করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।