আপনি কি নামজারি আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? হ্যাঁ! আপনি সঠিক স্থান নির্বাচন করছেন। আমরা নামজারি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়গুলো সহজ ও সাবলীল ভাবে আলোচনা করবো। যা থেকে আপনি উপকৃত হবেন বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তো চলুন নামজারি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।
নামজারির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বর্তমান সময়ে সরকারে যুগান্তকারী বিপ্লবের মধ্যে অন্যতম ঘরে বসে অনলাইনে জমি-জমা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও সেবা মানুষের কাছে পৌছয়ে দেয়া। তার মধ্যে অন্যতম অনলাইনে নামজারি আবেদন করা। অনলাইনে নামজারি আবেদন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ রয়েছে। নিচে সেই ধাপ গুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলঃ
নামজারি কি?
নামজারি বা মিউটেশন হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করলে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়। কোন ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেয়া হয় যেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। উক্ত হিসাব বিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিক বা মালিকগণের নাম, মৌজা নাম ও নম্বর (জেএল নম্বর), জমির দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমাণ, মালিকের জমির প্রাপ্য অংশ ও জমির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে।
নামজারির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নির্ভুলভাবে ফরম পূরণ এবং সঠিক তথ্য প্রদানের ফলে নামজারি আবেদন নিস্পত্তি সহজতর হয়। বিভিন্ন ভুল বা তথ্যের গরমিলের কারণে নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হয়ে থাকে। আবেদনকারীকে এই নির্দেশিকা ভালভাবে পাঠ করে ও বুঝে সঠিকভাবে পূর্ব-প্রস্স্তুতি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো ।
১। নামজারির আবেদন সর্বশেষ জরিপ রেকর্ডের ভিত্তিতেইহবে, সেমতে আপনাকে আপনার এলাকার জন্য এসএ/এমআরএস, আরএস/বিএস, মহানগর, দিয়ারা, সিএস যা প্রযোজ্য জরিপটি সিলেক্ট করতে হবে, এজন্য আপনি এ বিষয়ে আগেই নিশ্চিত হয়ে সিলেক্ট করবেন।
CS/SA/RS/BS খতিয়ান বের করুন -এখানে ক্লিক করুন
২। আবেদন ফরমটি পূরণের সময় আপনাকে নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ টাইপ করে দিতে হবে-
- 
- দলিলসূত্রে জমির মালিক হলে দলিল নম্বর, দলিলের তারিখ ( সন মাস দিন সিলেক্টের মাধ্যমে) ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নাম।
 - খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিকের বা মালিকগণের নাম, পিতা/স্বামীর নাম ও পূর্ণ ঠিকানা।
 - আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, সক্রিয় বাংলাদেশী মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ( তদাভাবে পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র নম্বর) ও ইমেইল এড্রেস।
 - আবেদনকারী যদি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর(RJSC)’এর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি, প্রতিষ্ঠানের RJSC রেজিট্রেশন নং, নিবন্ধন তারিখ, জেলা, উপজেলা, ঠিকানা।
 - আবেদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি।
 - আবেদনকারী RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি।
 - যাদের নাম হতে কর্তন করে নামজারি দেয়া হবে তাদের এবং যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নোটিশ দিতে হবে তাদের সকলের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর।
 - আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি মারফতে আবেদন করলে উক্ত প্রতিনিধির নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, সক্রিয় বাংলাদেশী মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (তদাভাবে পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র নম্বর )ও ইমেইল এড্রেস, বয়স ও আবেদনকারীর সাথে সম্পর্ক।এবং
 - আবেদিত জমি দাতা বা দাতা মৃত হলে তার ওয়ারিশের এবং দাতা কোন প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিনিধির নাম ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর, পদবি, RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর , তারিখ, জেলা, উপজেলা, ঠিকানা।
 
 
লক্ষ্য করুন, এইসব তথ্য ফরমে সরাসরি লিখতে গেলে ভুল হয়ে যেতে পারে, তাই এগুলো আগে থেকেই আপনি আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনার নামে খোলা ফোল্ডারটিতে একটি ওয়ার্ড ফাইলে অভ্র নিকশ ফন্টে টাইপ করে রাখতে পারেন, যা যথাসময়ে কপি-পেস্ট করে আবেদন ফর্ম পূরণ করা সহজ হবে
নামজারি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
৩। আবেদন ফর্ম পূরণের সময় আপনাকে আবেদনকারী/অবেদনকারীগণের প্রত্যেকের এবং আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি হলে প্রতিনিধির অর্থাৎ আবেদনকারী পক্ষের প্রত্যেকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি,নিজ নিজ স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধ সনদ(যাহা প্রযোজ্য), আবেদনকারী RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলে নিবন্ধন সনদ, উওরাধিকার সূত্রে নামজারি হলে উত্তরাধিকার সনদ পত্র, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা প্রভৃতি প্রমাণকের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে, এইসব স্বাক্ষর ছবি ও কাগজ আলাদা আলাদাভাবে jpg বা png ফরমেটে স্ক্যান করে আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনার নামে খোলা ফোল্ডারটিতে রাখতে পারেন, যা ফরম পূরণের সময় যথাসময়ে Chose file ক্লিকের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারবেন।

৪। প্রতিটি pdf ফাইলের সাইজ অবশ্যই সর্বোচ্চ 1.25 MB এর মধ্যে হতে হবে এবং সবগুলো সংযুক্তি ফাইল মিলিয়ে অবশ্যই 25 MB এর মধ্যে হতে হবে। সামগ্রিক ফাইল 25MBএর বেশি হলে https://www.pdf2go.com/resize-pdf অথবা https://www.sejda.com/compress-pdf অথবা এ ধরণের যেকোন অনলাইন টুল ব্যবহার করে pdf ফাইলের সাইজ কমানো যায় এবং Microsoft Office – Edit Pictures-Compress Pictures ব্যবহার করে ক jpg বা png ফাইলের সাইন কমিয়ে আনা যায়।
৫। আরও জ্ঞাতব্য: ক্রয়সূত্রে ফরমে আবেদনের সময় মৌজা নির্ধারণ করে আবেদনকারিকে একটি ঘোষণা প্রদান করতে হবে। অসত্য তথ্য প্রদানে আবেদন বাতিল হবার পাশাপাশি আইনগত শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে বিধায় আবেদনকারিকে অবশ্যই সঠিক ঘোষণা প্রদান করতে হবে। যে সকল বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে –
- 
- ক) সর্বশেষ রেকর্ড অথবা সর্বশেষ নামজারি হতে জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা আছে কি না অর্থাৎ মধ্যবর্তী হস্তান্তরের প্রমাণপত্র/বায়া দলিলসমূহ আছে কিনা?
 - খ) আবেদনকারীর দলিলমূলে মালিকানা দাবী ও হিস্যা সঠিক আছে কি না?
 - গ) আবেদিত জমি দখলে আছে কি না? যদি আবেদিত জমি দখলে না থাকে, তাহলে একটি ব্যাখ্যা আবেদনের সঙ্গে প্রদান করতে হবে।
 - ঘ) আংশিক খাস/ অর্পিত/ অধিগ্রহণকৃত আছে কি না? আবেদিত জমি আংশিক খাস/ অর্পিত/ অধিগ্রহণকৃত হলে নিষ্কণ্টক অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করার প্রমাণক সহ ব্যাখা দিতে হবে।
 - ঙ) আবেদিত জমিতে কোন দেওয়ানী মামলা আছে কিনা ? মামলা থাকলে হস্তান্তরে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? নিষেধাজ্ঞা নাই মর্মে আদালতের ইনফরমেশন স্লিপ সংযুক্ত করতে হবে।
 - চ) জমিতে সরকারি স্বার্থ আছে কি না? থাকলে কোন ধরণের স্বার্থ আছে, তা নির্বাচন করতে হবে। দাগে সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অংশ (খাস / অর্পিত / পরিত্যক্ত / ওয়াকফ / বিনিময় / দেবোত্তর / অধিগ্রহণকৃত / খাসমহাল / কোর্ট অফ ওয়ার্ডস / সরকারি সংস্থা / অন্যান্য) চিহ্নিত করে আবেদিত জমি এর বাইরে হলে কোন অংশে তা চিহ্নিত করতে এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
 - ছ) সর্বশেষ অর্থ বছর পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা আছে কি না? ভূমি উন্নয়ন কর হাল নাগাদ না থাকলে আবেদনকারী তা হারাহারি ভাবে বকেয়াসহ হালনাগাদ পরিশোধ করবেন মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।
 - জ) আবেদনে বর্ণিত তফসিল জমি এপার্টমেন্ট বা ফ্লোর স্পেস কি না? যদি তা হয় তবে এপার্টমেন্ট নম্বর প্রদান করতে হবে, শুধু জমির জন্য এপার্টমেন্ট/ফ্লোর নম্বর প্রদান করতে হবে না।
 - ঝ) আবেদনকারী/আবেদনকারীগণের এই মৌজায় বর্তমানে কোনো খতিয়ান আছে কিনা? যদি তাদের আবেদিত জমির মৌজায় এক বা একাধিক খতিয়ান থাকে, তাহলে হ্যাঁ নির্ধারণ করে খতিয়ান নম্বর/ নম্বরসমূহ এন্ট্রি করুন। দুটি খতিয়ান নম্বরের মাঝে কমা (,) অথবা সেমিকোলন (।) ব্যবহার করবেন। ঘোষণা প্রদানের পর, জমির তফসিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।
 
 
ই- নামজারি করার নিয়ম
নির্ভুলভাবে ফরম পূরণ এবং সঠিক তথ্য প্রদানের ফলে নামজারি আবেদন নিস্পত্তি সহজতর হয়। বিভিন্ন ভুল বা তথ্যের গরমিলের কারণে নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হয়ে থাকে। আবেদনকারীকে এই নির্দেশিকা ভালভাবে পাঠ করে ও বুঝে সঠিকভাবে পূর্ব-প্রস্স্তুতি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো ।
১। নামজারি আবেদনের জন্য প্রথমে আপনাকে www.mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “নামজারি আবেদন” নামে অংশ দেখতে পাবেন । লেখায় ক্লিক করে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। তার আগে আপনাকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে।

২। আবেদন ফরমের প্রথমেই নামজারির জন্য আবেদিত জমিটি আপনি ক্রয়, ওয়ারিশ, হেবা, ডিক্রি, নিলাম, বন্দোবস্ত, অন্যান্য কী সূত্রে পেয়েছেন তা চিহ্নিত করতে হবে। এখনে উল্লেখ্য যে ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অন লাইনে ক্রয়সূত্রে নামজারি আবেদন ফরমটি আরও তথ্য সমৃদ্ধ করেছে, তাই ক্রয়সূত্রে সিলেক্ট করলে আপনার সামনে নতুন একটি ফর্ম আসবে, এতে আপনাকে কিছু বর্ধিত তথ্য দিতে হবে, ক্রমান্বয়ে অন্যান্য সকল সূত্রে আবেদনের জন্য পৃথক পৃথক ফরম ডেভেলপ করা হবে। ক্রয়সূত্রে ছাড়া অন্যান্য সূত্রের ক্ষেত্রে পূর্বতন ফরমটিই চলমান আছে।

৩। আবেদিত জমির তথ্য অংশে আপনি ক্রমান্র্বয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা সিলেক্ট করার পর মৌজা সিলেক্ট করবেন। মৌজার দীর্ঘ তালিকা থেকে আপনার মৌজাটি খুঁজে পেতে মৌজার নাম ও জেএল নম্বর স্মরণ রাখবেন। উল্লেখ্য যে একটি নামজারি আবেদন শুধুমাত্র একটি মৌজার জমি্র মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অর্জিত জমি একাধিক মৌজায় হলে প্রতিটি মৌজার জমি নামজারির জন্য পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে।
জমির নামজারি ফি
১। আবেদন দাখিলের সময় আপনাকে আবেদন ফি ২০/- ও নোটিশ জারি ফি ৫০/- মোট ৭০/ টাকা শুধুমাত্র অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করতে পারবেন, বিধায় আবেদন করার সময় সুবিধাজনক একটি মাধ্যমে ৭০/-টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা হাতের কাছে রাখুন।
২। আবেদন জমা হয়ে গেলে আবেদন নম্বর সহ যে পেজ আসবে সেই পেজে আবেদন ও নোটিশ ফি একত্রে ৭০/-টাকা অন-লাইনে জমা করার জন্য মোবাইল ওয়ালেট কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকে সুবিধাজনক একটি অপশনে ক্লিক করে অগ্রসর বাটন চেপে নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সুযোগ পাবেন। পেমেট হবার পর আবেদন নম্বর সহ পেমেন্ট কনফার্মেশনের একটি মেসেজ আসবে। এই মেসেজের নীচে থাকা পেমেন্ট রিসিপ্ট বাটন চেপে টাকা জমার রিসিপ্ট পাবেন ও প্রিন্ট করে নিতে পারবেন, তাছাড়া মেসেজের নীজে থাকা আবেদন প্রিন্ট বাটন চেপে আবেদনটি প্রিন্ট করতে বা পিডিএফ কপি সংরক্ষণ করে নিতে পারবেন।
নামজারি কিভাবে চেক করতে হয়
১। সাধারণত একটি ভূমি নামজারি প্রক্রিয়া ২৮ দিনে নিস্পত্তি হয়ে থাকে। সহকারী কমিশনার ভূমি এই আবেদনের চূড়ান্ত অনুমোদনের আদেশ করা পর অফিস সহকারী অনলাইনে খতিয়ান প্রস্তুত করবেন। খতিয়ান প্রস্তুত হলে ডিসিআর (DCR) ফী প্রদানের জন্য সিস্টেমে প্রদত্ত মোবাইলে SMS পাঠানো হবে। এ পর্যায়ে land.gov.bd তে গিয়ে ই-নামজারি পেজে আবেদন ট্র্যাকিং অপশনে বিভাগ সিলেক্ট করে আবেদন নম্বর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে ট্রাকিং করে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে কিনা যাচাই করতে পারবেন এবং পেজে দেয়া মোবাইল ওয়ালেট কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকে সুবিধাজনক একটি অপশনে ক্লিক করে অগ্রসর বাটন চেপে নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করে অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন।

২। অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করলে অনলাইনেই চালান প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালান পরিশোধিত হলে https://mutation.land.gov.bd/ এই লিঙ্ক এ গিয়ে আবেদন ট্র্যাকিং করে খতিয়ান প্রিন্ট এবং ডিসিআর প্রিন্ট কপিটি পাবেন।

নামজারি খতিয়ান যাচাই

৩। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ০২ নভেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দের স্মারক নং ৩১.০০.০০০০.০৪২.৮.০১১.২০-৫৫৯ নির্দেশনা মোতাবেক কিউআর কোডযুক্ত (Quick Response Code) অনলাইন ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt) ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রদত্ত ডিসিআর-এর সমতুল্য এবং আইনগতভাবে বৈধ ও সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও ব্যবহারোপযোগ্য হবে। তাই আপনাকে ভূমি অফিসে গিয়ে কোন ম্যানুয়াল ডিসিআর সংগ্রহ করতে হবে না।
৪। নামজারি খতিয়ান আবেদন বিষয়ক তথ্যের জন্য কলসেন্টারের 16122 নম্বরে অথবা ভূমিসেবা সংক্রান্ত সমস্যা জানানোর জন্য https://hotline.land.gov.bd লিংক ব্যবহার করুন।
আমরা বাংলাদেশের জমি-জমা সম্পর্কিত সকল তথ্য গুলো নির্ভুল ভাবে প্রচার করে থাকে। এছাড়া জমি-জমা সংক্রান্ত ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ আপডেট সবার আগে প্রচার করে থাকি। আপনি এখানে জমি-জমা সম্পর্কিত সকল তথ্য পাবেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিশ্চিতে! জমি-জমা সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট ফেসবুকে পেতে- ভূমিসেবা এখানে ক্লিক করুন।





