আপনি কি জমির রেকর্ড যাচাই সম্পর্কে জানতে চান? হ্যাঁ! আপনি সঠিক স্থান নির্বাচন করছেন। আমরা জমির রেকর্ড যাচাই সম্পর্কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়গুলো সহজ ও সাবলীল ভাবে আলোচনা করবো। যা থেকে আপনি উপকৃত হবেন বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তো চলুন জমির রেকর্ড যাচাই সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।
অনলাইনে জমির রেকর্ড যাচাই করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে সরকারে যুগান্তকারী বিপ্লবের মধ্যে অন্যতম ঘরে বসে অনলাইনে জমি-জমা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও সেবা মানুষের কাছে পৌছয়ে দেয়া। তার মধ্যে অন্যতম অনলাইনে জমির রেকর্ড যাচাই করা। অনলাইনে জমির রেকর্ড যাচাই করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ রয়েছে। নিচে সেই ধাপ গুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলঃ
জমির রেকর্ড দেখবো কীভাবে?
আমাদের বাংলাদেশে প্রতি ৩০ বছর পর জমির জরিপ করা হয়ে থাকে। আর সেই দিক থেকে বলা যায় যে, ৩০ বছর পর জমির রেকর্ড করা হয়।
১ম ধাপঃ
জমির মূল মালিক কে সেটা খতিয়ান নং এবং দাগ নং দিয়ে সহজে দেখে দিতে পারবেন। এছাড়াও মূল মালিকের নামের রেকর্ড ও দেখতে পারবেন।  এজন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের land.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
আপনি যেহেতু জমির রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাই স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ঘরে বসে অনলাইনে আপনার জমির খাজনা দিন-
এখানে ক্লিক করে←
২য় ধাপঃ
আপনাকে নতুন একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। জমি সংক্রান্ত তথ্য বা রেকর্ড জানার জন্য উপরে বামপাশে থাকা সার্ভে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করতে হবে। অথবা নিচে থাকা নামজারি খতিয়ান অপশনে ক্লিক করুন। এবার আপনাকে খতিয়ন অনলাইনে আবেদন বা রেকর্ড যাচাই / চেক করার ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
৩য় ধাপঃ
পর্যায়ক্রমে টেবিল এর তথ্য গুলো পূরণ করুন।
- আপনার বিভাগ নির্বাচন করুন।
 - জেলা নির্বাচন করুন।
 - উপজেলা নির্বাচন করুন।
 - খতিয়ানের ধরণ নির্বাচন করুন (কি ধরনের খতিয়ান রেকর্ড যাচাই করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন)।
 - মৌজা নির্বাচন করুন।
 - খতিয়ানের তালিকা থেকে আপনার সঠিক তথ্য খুঁজে বের করুন।
 
এখান থেকে আপনি বি এস খতিয়ান, সি এস খতিয়ান, বি আর এস খতিয়ান, আর এস খতিয়ান, এস এ খতিয়ান, পেটি খতিয়ান, দিয়ারা খতিয়ান এবং নামজারি খতিয়ান চেক করতে পারবেন। এবং জমি সংক্রান্ত রেকর্ড বা খতিয়ান নং অনুযায়ী জমির মালিকের নাম জানতে পারবেন।
৪র্থ ধাপঃ
খতিয়ান অনুসন্ধান করে না পাওয়া গেলে, খতিয়ান নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করে আবেদন করুন।
ঘরে বসে অনলাইনে আপনার জমির মৌজা নকশা ডাউনলোড করুন-
এখানে ক্লিক করে←
৫ম ধাপঃ
সার্টিফাইড কপি ডেলিভারির জন্য “অফিস কাউনটার/ডাকযোগ” নির্ধারণ করে দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে খতিয়ান ডেলিভারি নেওয়া যাবে। খতিয়ান/মৌজা ম্যাপ আবেদন ফর্মে যে ঠিকানা দেওয়া হবে খতিয়ান/মৌজা ম্যাপ সেই ঠিকানায় ডেলিভারি হবে।
৬ষ্ঠ ধাপঃ
সব কিছু ঠিক থাকলে খাতিয়ান/সার্ভে খতিয়ান/মৌজা ম্যাপ আবেদনটি প্রিন্ট করে রাখতে পারেন। এপর্যায়ে, সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করার পর উক্ত খতিয়ান/মৌজা ম্যাপ আবেদনের নম্বরটি ও সম্ভাব্য ডেলিভারি তারিখ আবেদনে প্রদত্ত মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। 
৭ম ধাপঃ
আবেদনকারী আবেদন করার পর যেকোন পর্যায়ে ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড পোর্টালে “আবেদনের অবস্থা” বাটনে ক্লিক করে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থান দেখতে পারবেন।
আমরা বাংলাদেশের জমি-জমা সম্পর্কিত সকল তথ্য গুলো নির্ভুল ভাবে প্রচার করে থাকে। এছাড়া জমি-জমা সংক্রান্ত ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ আপডেট সবার আগে প্রচার করে থাকি। আপনি এখানে জমি-জমা সম্পর্কিত সকল তথ্য পাবেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিশ্চিতে! জমি-জমা সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট ফেসবুকে পেতে- ভূমিসেবা এখানে ক্লিক করুন। 





